Char Kukri Mukri Corporate Tour Package – Charfession Upazilla, Bhola District.

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন্ডিত চর কুকরি মুকরির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রয়োজন নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমন। আর আপনার ভ্রমনকে আরো সুন্দর করতে এই প্রথম আমরা নিয়ে আসছি “দ্বীপকন্যা” হাউজবোট।

Kukri Mukri is an island of Char Kukri Mukri union, Bhola District, in southern Bangladesh. It is the southernmost part of the district. The island is 10 kilometres long, 9.5 kilometres across at its widest, and its total area is 25 square kilometers

Char Kukri-Mukri Wildlife Sanctuary

Char Kukri-Mukri Wildlife Sanctuary is a Wildlife sanctuary in Southern Charfession Upazilla of Bangladesh located on an island in Bay of Bengal in the south of the country. The area of the sanctuary is 40 ha (99 acres) and is elongated in shape. It is 130 km from the Bharisal town in the gangetic delta on the mouth of Meghana river. It is also called Charfesson wildlife sanctuary. Most part of the sanctuary is submerged twice in a day due to high tide and is covered with dense mangrove vegetation.  The soil type is clay.

 

History

According to the local people the human habitation started on the island around 1930 during the British Raj. The Bhola cyclone which hit the Bangladesh in 1970 had swept the entire human population on the island. After the cyclone, in the year 1973/1974 people again migrated to the island and started fishing and cultivation. Bangladesh forest department started afforestation of many mangrove species on the island.

How To Go

From Dhaka Sadarghat, Launches are available for Charfesson, BholaFrom Bhola first you have to go to Char Fashion’s Char Kachhpiya. From there it is possible to reach Char Kukri Mukri by a trawler, boat, or small launch.

Call: +88 01711336825, 01678076361-69

ঘুরে আসুন অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি দীপকন্যা চর কুকরিমুকরি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন! 🏝️

চর কুকরিমুকরি, ভোলা
স্থানীয়রা এই দ্বীপ বা চরকে ‘দ্বীপকন্যা’ নামে ডাকে। ভোলা জেলা সদর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে ওঠা মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মোহনায় গড়ে উঠা চরটির নাম চর কুকরি মুকরি। কুকরি-মুকরি ইউনিয়নটি হাজিপুর, বাবুগঞ্জ, নবীনগর, রসুলপুর, আমিনপুর, শাহবাজপুর, মুসলিমপাড়া, চর পাতিলা ও শরীফপাড়া নিয়ে গঠিত।
চারিদিকে জলরাশি দ্বারা বেশিষ্ট প্রমত্তা মেঘনার উত্তাল ঠেউয়ে পলি জমতে জমতে এ দ্বীপটির জন্ম। সাগরের কোল ঘেষে জন্ম নেওয়ায় কুকরি মুকরিকে অনেকে স্বপ্নের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এখানে মেঘনা নদীর ঢেউ এমন রূপ ধারণ করে যে অনেক সময় মনে হবে তুমি সাগরের কোন সৈকতে অবস্থান করছ।
ইতিহাস ও বনায়ন:
১৯৮৯ সালের ১৪ মে বন বিভাগের কাছে এক (সর্বশেষ সংশোধিত) প্রজ্ঞাপনে লিখিত নির্দেশনা আসে, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জান-মাল রক্ষায় ভোলায় কমপক্ষে ৩ লাখ ৬০ হাজার একর জমিতে সংরক্ষিত শ্বাসমূলীয় (ম্যানগ্রোভ) বনায়ন করতে হবে। এ সময় মূলত শ্বাসমূলীয় গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন শুরু করা হলেও পরে ক্রমে ক্রমে যুক্ত হয় সুন্দরী, গেওয়া, পশুর প্রভৃতি গাছের চারা রোপণ। এ ছাড়া গোটা এলাকা জুড়েই চোখে পড়ে বিপুল সংখ্যক কেওড়া গাছ। মূলত বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই সব গাছ আর আশপাশের নারিকেল গাছ, বাঁশ ও বেত বন মিলেই এখানে তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় একটি ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল। বন বিভাগ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, ভাঙা গড়ার আবর্তে পড়ে বর্তমান কুকুরি-মুকুরি চরে বনায়নের পরিমাণ ৮৫৬৫ হেক্টর। যার মধ্যে বন্য প্রাণীর অভয়াশ্রম ২১৭ হেক্টর। বসতি ও কৃষি আবাদ আছে প্রায় ৪ হাজার ৮১০ হেক্টরে। চরের মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা ও কৃষিকাজ।
জীবজন্তু ও পশু-পাখির সমাহার:
চর কুকরি মুকরিতেই রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এখানে বাঘের ভয় নাই বলে প্রকৃতিপ্রেমিকরা নির্ভয়ে এই বনাঞ্চল ভ্রমণ করতে পারে।
চর কুকরি মুকরির বনে যেসব প্রাণী দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, বানর, উদবিড়াল, শিয়াল, বন্য মহিষ-গরু, বন-বিড়াল, বন মোরগ, প্রভৃতি। আর পাখিও সরিসৃপ হিসেবে এই বনের অধিবাসীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বক, বন মোরগ, শঙ্খচিল, মথুরা, কাঠময়ূর, কোয়েল, গুইসাঁপ, বেজি, কচ্ছপ, কুকুরি বনের ও নানা ধরনের সাপ।
চর কুকরিমুকরি শীতকালের চিত্র ভিন্ন ধরনের। সূদুর সাইরেরিয়া থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখিদের আগমনে চরাঞ্চলগুলো যেন নতুন রূপ ধারন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে শীত মৌসুমে বাংলাদেশে প্রায় ৬৫০ প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। এর মধ্যে সিংহভাগই ভোলায় অবস্থান করে। তখন স্বপ্নের দ্বীপ কুকরিমুকরি অতিথি পাখিদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য:
চর কুকরি মুকরি যেনো সুন্দরবনের একটি প্রতিচ্ছবি! এখানকার সমুদ্র সৈকতটিও বেশ পরিচ্ছন্ন ও নিরিবিলি। দেশের অন্যান্য পর্যটক কেন্দ্র গুলোর তুলনায় কুকরিমুকরির চিত্র কিছুটা ভিন্ন ধরনের। মাইলের পর মাইল কৃক্ষরাজির বিশাল ক্যানভাস স্বপ্নের দ্বীপ কুকরি মুকরিকে সাজিয়েছে অনন্য এক রূপে। যেখানে জীবিত গাছের সংখ্যা ৯ কোটিরও বেশি। চর কুকরিমুকরির ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। খালটির নাম ভাড়ানি খাল। মেঘনার বিশাল বুক থেকে বয়ে গিয়ে খালটি পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। এই খালপথ বেয়ে বেয়ে চরের দু’পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় খুব সহজেই।
এখানকার ধু-ধু বালিয়াড়ির ওপর দাঁড়ালে সাগরের শোঁ শোঁ শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাবে না। একটু সামনে এগোলেই ঢাল চর। এর পরই বঙ্গোপসাগর। এখানে উত্তাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া দেখলেই মনে পড়ে যাবে কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কথা। স্থানীয় লোকেরা এই স্পটটিকে বালুর ধুম নামে ডাকে। তবে কুকরিমুকরির প্রধান আকর্ষণ সাগরপাড়। সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের মনমুগ্ধকর দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের বিমোহিত করবে।
প্রকৃতিপ্রেমিকরা ইচ্ছে করলে চর কুকরি মুকরির অদূরেই অবস্থিত ঢালচরে ঘুরে আসতে পারে। যেখানে আছে নিরব-নিস্তব্ধ লোকালয় ও কোলাহলমুক্ত তারুয়া সমুদ্র সৈকত।
চরের নামকরণ:
কথিত আছে যে একসময় চর কুকরি মুকরিতে শুধুমাত্র কুকুর আর ইঁদুর (স্থানীয়দের কাছে যা মেকুর নামে পরিচিত) ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়তো না। আর তাই এই চরের নামকরণ হয় চর কুকরি মুকরি।
যোগাযোগ ও পরিবহন:
চর কুকরি মুকরি ভ্রমণের একমাত্র উপায় নৌপথ। এই চরে আসতে হলে ভ্রমণকারীকে লঞ্চ, হোন্ডা ও ট্রলারের সাহায্য নিতে হয়।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময়:
চর কুকরি মুকরি ভ্রমণের সবচাইতে উপযুক্ত সময় শীতমৌসুম। বর্ষা মৌসুমে মেঘনানদী ও বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে এই অঞ্চল ভ্রমণের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

Sign In